ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় মারধরে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল বলে জানা গেছে। তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলি ইউনিয়নে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের একটি সূত্র জানায়, মুঠোফোনচোর সন্দেহে গতকাল সন্ধ্যার পর ওই ব্যক্তিকে ফজলুল হক হলের অতিথিকক্ষে ধরে এনে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করা হয়। এর একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে হলের ক্যান্টিনে রাতের খাবার খাইয়ে আবারও মারধর করেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে আবাসিক শিক্ষকেরা হলে যান বলে জানান হলের এক শিক্ষার্থী। পরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে আহত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল থেকে চলে যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বলেন, ‘ফজলুল হক মুসলিম হলে পিটিয়ে একটি হত্যার ঘটনা শোনার পর ভোরেই আমি প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখানে মর্গে থাকা ব্যক্তি মৃত্যুর ঘটনা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে আমার টিমের একজন শাহবাগ থানায় গিয়েছেন এ বিষয়ে মামলা করার জন্য।’
অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য বলেছি। সেগুলো দেখে কারা দোষী, তা শনাক্ত করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা বিষয়টাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor